সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল
রামু মিঠাছড়ি ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) খাটির মাথা সংলগ্ন বাজারের পাশের্^ ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা কলিম উল্লাহর নেতৃত্বে পাহাড় কেটে বহুতল ভবণ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়ও তাঁর ওয়ার্ডের হোয়ারি ঘোনায় এলাকায় তাঁর নেতৃত্বে পাহাড় কেটে অনুমতি বিহীন মুরগির র্ফাম নির্মাণ করেছিল। এভাবে দিনের পর দিন বেপরোয়া ভাবে পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করলেও প্রশাসন ও রেঞ্জ কর্মকর্তা নিরব ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাহাড় কেটে ভবণ নির্মাণের চিত্র। আট থেকে ১০ জনের অধিক শ্রমিক দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে ভবণ নির্মাণ শুরু করছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো মুহুর্তে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় লোকজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামায়াত নেতা ও একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কলিম উল্লাহর নেতৃত্বে তাঁর বড় ভাই প্রবাসী আজিজুল হক দিন-দুপুর প্রকাশ্যে এভাবে পাহাড় কেটে ভবণ নিমার্ণ করছে। এছাড়ও উক্ত জায়গা নিয়ে বর্তমানে মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে পাহাড় কেটে ভবণ নির্মাণকারী আজিজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের জায়গার পাহাড় কেটেই ভবণ নির্মাণ করেছি। এতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে না।
একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও জামায়াত নেতা কলিম উল্লাহ বলেন, আমি পাহাড় কাটেনি। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। পাহাড় কেটে মুরিগর ফার্মের কথা জিজ্ঞেস করলে আমি আমার পাহাড় কেটে র্ফাম তৈরি করছি। এখানে আবার পরিবেশের কি ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভুট্টো জানান, পাহাড় কেটে ভবণ নির্মাণের কথা শুনেছি। পাহাড় কেটে ফেলায় পরিবেশ প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে যেকোন জায়গাজমির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ভুমিদস্যূরা সরকারি পাহাড় দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
রামু তুলাবাগান রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, দিনের বেলায় এখন কেউ পাহাড় কাটে না। রাতের বেলায় পাহাড় কাটার খবর পেলেই আমরা ছুটে যাই। কিন্তু জড়িতদের হাতেনাতে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। কলিম উল্লাহ বিরুদ্ধে পূর্বেই অনেক পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। তবে পাহাড় কেটে ভবণ নির্মাণের কাজ এখনো দেখিনি। যদি হয়ে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদ বলেন, অনুমতি বিহীন যাঁরা ভবণ নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যদিও কলিম উল্লাহ ও আজিজুল হক পাহাড় কেটে ভবণ নির্মাণ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-